৪নং গুমানমর্দ্দন হাটহাজারীর একটি ইউনিয়ন। ১৫০৫ সালে সুলতান নশারত শাহ শঙ্খা নদীর তীর পর্যন্ত স্বীয় রাজ্য শাসনে আনেন ৩ নং ফতেয়াবাদে রাজধানী স্থাপন করেন। এ বিজয়ের ফলে স্থানীয় জনগন সুলতান নশরত শাহকে পেপীড় মর্দন উপাধিতে ভূষিত করেন। পরবর্তী কালে সুলতানের বিজয়ের স্মারক স্বরূপ উক্ত এলাকার নাম গৌড় মর্দন। বর্তমানে তথায় পৌড় সুলতানের বাড়ী নামে একটি বাড়ী আছে। গৌড় মর্দন পরবর্তীকালে সুলতানের শিবির এলাকাটির নাম গুমানমর্দ্দন লাভ করে। এওয়র মর্দন মদ্দর্ন পরে কথা ভাষারূপে ওয়র মর্দ্দনের লেখ্য ভাষায় গুমানমর্দ্দন নামে রূপান্তরিত হয়। আমরা জানি শাসন আমলে উক্ত এলাকায় আরকানী বসবাস করত। এখনো গুমান মর্দ্দন অনে বড়ুয়া নামে বহুসগের বসতি ও কেয়াং রয়েছে। ১৫২৫ ইং সালে সুলতান নশরত শাহ সমগ্র চট্টগ্রাম বিজয় করলে অনেক জন পালিয়ে যায়। গুমান মর্দ্দন বিল হাটাহাজরীর মধ্যে সবচেয়ে বড়বিল এখানে । ১৬৬৬ সালে পলায়ন কারী বড়ুয়াদের অনেক পরিত্যাক্ত উঁচু ভিটে দেখা যায় । বর্তমানে বহু প্রাচীন ভিটে মাঠি কেটে জমিতে রূপান্তরিত করে চাষাবাদের যোগ্য করা হয়েছে। আরকানী আমল বলতে ১৫৮৫ হতে ১৬৬৫ খ্রিঃ সময়কে বুঝায়। ঐ সময় কে আরকানী যুগ বলা হলে ও ১৫৮৫ খ্রিঃ ত্রিপুরার রাজন অমর মানিক্য উত্তর চট্টগ্রাম দখল করেন। গুমানমর্দ্দন ছিপাতলী ও নাঙ্গলমোড়া মৌজা নিয়ে গঠিত ছিল। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর পরই এ ইউনিয়নকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়। এর ৩ নং ২৯৩২ একর। ইউনিয়নের লোক ১৫৮৭২ জন, পুরুষ ৮২৪৮, মহিলা ৭৬২৪। ১১.৮৭ বর্গ কিলোমিটার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারের ১৩৩৭ । শিক্ষার হার ৫৭%।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস